ভারতের ইতিহাসে প্রাক-মৌর্য যুগ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল। এই সময়ে বিভিন্ন ছোটো রাজ্য গঠিত হয় এবং একাধিক মহাজনপদের বিকাশ ঘটে। সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ধর্মীয় চিন্তাধারারও উত্থান ঘটে। জৈন ও বৌদ্ধ ধর্ম এই সময়ে প্রসার লাভ করে, যা পরবর্তী কালে ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।
প্রাক-মৌর্য যুগে রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিকাশের পাশাপাশি জনগণের জীবনযাত্রা, ধর্মীয় চিন্তাধারা ও অর্থনৈতিক কাঠামোতেও পরিবর্তন আসে। জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের উদ্ভব এই সময়ের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা সমাজের প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক ব্যবস্থার বিকল্প দর্শন তুলে ধরে।
প্রাক-মৌর্য যুগ
প্রাক-মৌর্য যুগ বলতে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী সময়কে বোঝানো হয়। এই সময়ে ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো এক নতুন রূপ নিতে শুরু করে। ছোটো ছোটো রাজ্যগুলোর পরিবর্তে বৃহৎ মহাজনপদ গঠিত হয় এবং রাজতন্ত্রের শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপিত হয়।
এই সময়ে একাধিক শক্তিশালী রাজ্যের উত্থান ঘটে, যা পরে বৃহৎ সাম্রাজ্য গঠনের পথ প্রশস্ত করে। অর্থনীতি, প্রশাসন ও সামরিক শক্তির বিকাশের মাধ্যমে এই যুগে ভারতীয় সভ্যতা আরও সংগঠিত হয়।
মহাজনপদের বিকাশ
প্রাক-মৌর্য যুগে ভারতবর্ষে বেশ কয়েকটি বড়ো রাজ্য বা মহাজনপদের সৃষ্টি হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে কিছু রাজ্য ছিল রাজতান্ত্রিক, আবার কিছু রাজ্য গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত হতো।
মহাজনপদের সংজ্ঞা ও উৎপত্তি
মহাজনপদ শব্দের অর্থ বৃহৎ জনপদ বা বড়ো রাজ্য। বৈদিক যুগের ছোটো ছোটো গোষ্ঠীগুলি একত্রিত হয়ে বৃহৎ রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যায়, এবং ধীরে ধীরে মহাজনপদ গড়ে ওঠে।
গুরুত্বপূর্ণ মহাজনপদ
ষোড়শ মহাজনপদের মধ্যে মগধ, কৌশল, অবন্তী, বৎস, বৃজি, অঙ্গ, কুরু, মৎস্য ইত্যাদি ছিল অন্যতম। মগধ এই সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো
কিছু মহাজনপদে রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল, যেখানে রাজারা প্রশাসনিক কার্য পরিচালনা করতেন। আবার কিছু মহাজনপদ গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হতো, যেমন বৃজি।
রাজতন্ত্রের বিকাশ
মহাজনপদ গঠনের ফলে রাজতন্ত্রের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং প্রশাসনিক কাঠামো আরও সংগঠিত হয়। রাজারা কেবলমাত্র সামরিক নেতৃত্ব নয়, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থারও মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠেন।
রাজাদের ক্ষমতা ও প্রশাসন
রাজারা সেনাবাহিনী গঠন করে রাজ্য রক্ষা করতেন এবং যুদ্ধ পরিচালনা করতেন। প্রজাদের কাছ থেকে কর সংগ্রহ করে অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী করা হতো।
রাজসভার ভূমিকা
রাজারা পরামর্শের জন্য রাজসভা বা মন্ত্রিসভার সাহায্য নিতেন। এতে ব্রাহ্মণ, সেনাপতি ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা থাকতেন।
আইন ও শাসনব্যবস্থা
প্রতিটি মহাজনপদে নির্দিষ্ট আইন ব্যবস্থা চালু ছিল। কিছু রাজ্যে কঠোর শাস্তির বিধান ছিল, আবার কিছু রাজ্যে তুলনামূলকভাবে ন্যায়সঙ্গত বিচারব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।
জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের উত্থান
প্রাক-মৌর্য যুগে সমাজের প্রচলিত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ব্রাহ্মণ্যবাদী শাসনব্যবস্থা এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এক নতুন ধর্মীয় আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই সময়ে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের উদ্ভব হয়, যা সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনব্যবস্থা ও নৈতিকতাকে গুরুত্ব দিয়েছিল।
উত্থানের কারণ
জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের উত্থানের প্রধান কারণ ছিল সমাজের অসন্তোষ। ব্রাহ্মণ্যবাদী ধর্মীয় কুসংস্কার, কঠোর জাতিভেদ ব্যবস্থা এবং যজ্ঞ-সংস্কারের ব্যয়বহুলতা সাধারণ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছিল।
জৈন ধর্ম
জৈন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঋষভদেব, তবে এটি মহাবীরের প্রচারের মাধ্যমে প্রসার লাভ করে। অহিংসা, আত্মসংযম ও মোক্ষলাভের শিক্ষা ছিল জৈন ধর্মের মূল ভিত্তি।
মহাবীরের জীবন ও শিক্ষা
মহাবীর খ্রিস্টপূর্ব ৫৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং কঠোর তপস্যার মাধ্যমে কেবল্য জ্ঞান লাভ করেন। তিনি অহিংসা, সত্য, অসংগ্রহ, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহের শিক্ষা দেন।
জৈন ধর্মের মূল উপাদান
এই ধর্মে আত্মশুদ্ধি ও অহিংসার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। জীবহত্যাকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সমাজের ওপর প্রভাব
জৈন ধর্মের প্রভাবে সমাজে অহিংসা ও মিতব্যয়িতার চর্চা বৃদ্ধি পায়। এটি বিশেষ করে ব্যবসায়ী ও ধনীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
বৌদ্ধ ধর্ম
গৌতম বুদ্ধের নেতৃত্বে বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশ ঘটে। তিনি সমাজের বিদ্যমান কুসংস্কার ও ব্রাহ্মণ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।
গৌতম বুদ্ধের জীবন ও শিক্ষা
গৌতম বুদ্ধ রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু দুঃখ-দুর্দশা দেখে সংসার ত্যাগ করেন এবং কঠোর সাধনার মাধ্যমে নির্বাণ লাভ করেন।
চার আর্যসত্য ও অষ্টাঙ্গিক মার্গ
বুদ্ধের শিক্ষা ছিল দুঃখের কারণ ও তার মুক্তির পথ নিয়ে। তিনি চার আর্যসত্য ও অষ্টাঙ্গিক মার্গ প্রচার করেন, যা মানুষের মুক্তির পথ নির্দেশ করে।
বৌদ্ধ ধর্মের সমাজে প্রভাব
বৌদ্ধ ধর্ম সমাজের উচ্চ-নীচ বিভেদ দূর করার চেষ্টা করে এবং সকল মানুষের জন্য মুক্তির পথ উন্মুক্ত করে।
উপসংহার
প্রাক-মৌর্য যুগ ছিল ভারতের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সময়। এই সময়ে মহাজনপদ ও রাজতন্ত্রের বিকাশ ঘটে, যা পরবর্তী বৃহৎ সাম্রাজ্য গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে। পাশাপাশি, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের উত্থান সমাজে এক নতুন ধর্মীয় ও নৈতিক চিন্তাধারার প্রচলন ঘটায়। এই সময়ের পরিবর্তনগুলি ভারতীয় সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল, যা আজও বিভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: প্রাক-মৌর্য যুগ কাকে বলা হয়?
উত্তর: মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী সময়কে প্রাক-মৌর্য যুগ বলা হয়।
প্রশ্ন: মহাজনপদ কী?
উত্তর: মহাজনপদ হলো বৃহৎ রাজ্য বা জনপদ, যা বৈদিক যুগের ছোটো গোষ্ঠীগুলোর একত্রিত হওয়ার ফলে গঠিত হয়।
প্রশ্ন: মোট কতটি মহাজনপদ ছিল?
উত্তর: ষোড়শ মহাজনপদ বা ১৬টি মহাজনপদ ছিল।
প্রশ্ন: সবচেয়ে শক্তিশালী মহাজনপদ কোনটি ছিল?
উত্তর: মগধ মহাজনপদ সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল।
প্রশ্ন: গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার একটি উদাহরণ কোন মহাজনপদ?
উত্তর: বৃজি মহাজনপদ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার একটি উদাহরণ।
প্রশ্ন: রাজতান্ত্রিক মহাজনপদে কে শাসন করতেন?
উত্তর: রাজা শাসন করতেন।
প্রশ্ন: রাজসভায় কারা থাকতেন?
উত্তর: রাজসভায় ব্রাহ্মণ, সেনাপতি ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ ব্যক্তি থাকতেন।
প্রশ্ন: প্রাক-মৌর্য যুগে কোন দুটি ধর্মের উত্থান ঘটে?
উত্তর: জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের উত্থান ঘটে।
প্রশ্ন: মহাবীর কোন ধর্মের প্রচার করেছিলেন?
উত্তর: মহাবীর জৈন ধর্মের প্রচার করেছিলেন।
প্রশ্ন: গৌতম বুদ্ধ কোন রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: শাক্য রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন: মহাবীরের শিক্ষা কী ছিল?
উত্তর: অহিংসা, সত্য, অসংগ্রহ, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ।
প্রশ্ন: বুদ্ধ ধর্মের প্রধান শিক্ষা কী?
উত্তর: চার আর্যসত্য ও অষ্টাঙ্গিক মার্গ।
প্রশ্ন: বৌদ্ধ ধর্মে নির্বাণ কী?
উত্তর: নির্বাণ হলো মোক্ষ বা পরম মুক্তি।
প্রশ্ন: কোন মহাজনপদে রাজতন্ত্রের বিকাশ ঘটে?
উত্তর: মগধ মহাজনপদে।
প্রশ্ন: মহাজনপদের রাজারা কীভাবে রাজ্য পরিচালনা করতেন?
উত্তর: সেনাবাহিনী গঠন ও কর সংগ্রহের মাধ্যমে।
প্রশ্ন: জৈন ধর্মের প্রধান নীতি কী ছিল?
উত্তর: অহিংসা ও আত্মসংযম।
প্রশ্ন: বুদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের কী বলা হয়?
উত্তর: বৌদ্ধ।
প্রশ্ন: মহাজনপদ গঠনের ফলে কী পরিবর্তন আসে?
উত্তর: রাজতন্ত্র শক্তিশালী হয় এবং প্রশাসনিক কাঠামো সংগঠিত হয়।
প্রশ্ন: জৈন ধর্ম কার মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে?
উত্তর: ব্যবসায়ী ও ধনী সমাজের মধ্যে।
প্রশ্ন: মহাজনপদগুলোর অর্থনৈতিক ভিত্তি কী ছিল?
উত্তর: কৃষি ও বাণিজ্য।
এমসিকিউ প্রশ্ন
প্রশ্ন: প্রাক-মৌর্য যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
ক) মৌর্য সাম্রাজ্যের বিকাশ
খ) মহাজনপদের উত্থান
গ) ব্রিটিশ শাসন
ঘ) দিল্লি সালতানাতের বিকাশ
উত্তর: খ) মহাজনপদের উত্থান
প্রশ্ন: নিচের কোনটি গণতান্ত্রিক মহাজনপদ ছিল?
ক) মগধ
খ) কৌশল
গ) বৃজি
ঘ) অবন্তী
উত্তর: গ) বৃজি
প্রশ্ন: মহাবীর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক) খ্রিস্টপূর্ব ৫৯৯
খ) খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৩
গ) খ্রিস্টপূর্ব ৩২২
ঘ) খ্রিস্টপূর্ব ১০০০
উত্তর: ক) খ্রিস্টপূর্ব ৫৯৯
প্রশ্ন: গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক) কপিলাবস্তু
খ) শ্রাবস্তী
গ) রাজগৃহ
ঘ) অঙ্গ
উত্তর: ক) কপিলাবস্তু
প্রশ্ন: রাজতান্ত্রিক মহাজনপদগুলোর শাসনব্যবস্থা কেমন ছিল?
ক) গণতান্ত্রিক
খ) রাজা দ্বারা পরিচালিত
গ) সামন্ততান্ত্রিক
ঘ) সাম্রাজ্যতান্ত্রিক
উত্তর: খ) রাজা দ্বারা পরিচালিত
প্রশ্ন: নিচের কোনটি মহাজনপদ নয়?
ক) মগধ
খ) বৃজি
গ) গুপ্ত
ঘ) কৌশল
উত্তর: গ) গুপ্ত
প্রশ্ন: মহাজনপদগুলোর অর্থনীতি প্রধানত কী ভিত্তিক ছিল?
ক) কৃষি ও বাণিজ্য
খ) শিল্প ও কলকারখানা
গ) তথ্যপ্রযুক্তি
ঘ) পশুপালন
উত্তর: ক) কৃষি ও বাণিজ্য
প্রশ্ন: মহাজনপদের শাসকগণ কর আদায় করতেন কী উদ্দেশ্যে?
ক) সেনাবাহিনী গঠনের জন্য
খ) ধর্মীয় উপাসনার জন্য
গ) শিক্ষা প্রসারের জন্য
ঘ) মন্দির নির্মাণের জন্য
উত্তর: ক) সেনাবাহিনী গঠনের জন্য
প্রশ্ন: বুদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের কী বলা হয়?
ক) ব্রাহ্মণ
খ) শূদ্র
গ) বৌদ্ধ
ঘ) বৈশ্য
উত্তর: গ) বৌদ্ধ
প্রশ্ন: নিচের কোন ধর্ম ব্রাহ্মণ্যবাদী কুসংস্কারের বিরোধিতা করেছিল?
ক) জৈন ও বৌদ্ধ
খ) খ্রিস্টান
গ) ইসলাম
ঘ) সিখ
উত্তর: ক) জৈন ও বৌদ্ধ
প্রশ্ন: মহাবীরের প্রধান শিক্ষা কী ছিল?
ক) যজ্ঞ ও বলিদান
খ) অহিংসা ও আত্মসংযম
গ) একেশ্বরবাদ
ঘ) রাজনীতিতে অংশগ্রহণ
উত্তর: খ) অহিংসা ও আত্মসংযম
প্রশ্ন: চার আর্যসত্য ও অষ্টাঙ্গিক মার্গ কার শিক্ষা?
ক) মহাবীর
খ) চাণক্য
গ) গৌতম বুদ্ধ
ঘ) অশোক
উত্তর: গ) গৌতম বুদ্ধ
প্রশ্ন: মহাজনপদগুলোর শাসনব্যবস্থায় রাজাদের প্রধান কাজ কী ছিল?
ক) কৃষিকাজ
খ) সেনাবাহিনী পরিচালনা
গ) মন্দির নির্মাণ
ঘ) শাস্ত্র রচনা
উত্তর: খ) সেনাবাহিনী পরিচালনা
প্রশ্ন: বৃজি মহাজনপদের শাসনব্যবস্থা কেমন ছিল?
ক) রাজতান্ত্রিক
খ) সামন্ততান্ত্রিক
গ) গণতান্ত্রিক
ঘ) সাম্রাজ্যবাদী
উত্তর: গ) গণতান্ত্রিক
প্রশ্ন: বৌদ্ধ ধর্মের মূল লক্ষ্য কী?
ক) যজ্ঞ করা
খ) দুঃখ থেকে মুক্তি
গ) ধন-সম্পদ লাভ
ঘ) যুদ্ধে বিজয়
উত্তর: খ) দুঃখ থেকে মুক্তি
প্রশ্ন: নিচের কোনটি মহাজনপদের অংশ ছিল না?
ক) মগধ
খ) বৃজি
গ) গুপ্ত
ঘ) কৌশল
উত্তর: গ) গুপ্ত
প্রশ্ন: মহাজনপদের শাসকের প্রধান দায়িত্ব কী ছিল?
ক) ধর্ম প্রচার
খ) যুদ্ধ পরিচালনা
গ) কৃষিকাজ করা
ঘ) শিল্প গঠন
উত্তর: খ) যুদ্ধ পরিচালনা
প্রশ্ন: মহাবীরের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
ক) আত্মসংযম ও মোক্ষলাভ
খ) রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ
গ) বাণিজ্য প্রসার
ঘ) যুদ্ধজয়
উত্তর: ক) আত্মসংযম ও মোক্ষলাভ
প্রশ্ন: বৌদ্ধ ধর্মে নির্বাণ কী বোঝায়?
ক) ধনসম্পদ
খ) যুদ্ধজয়
গ) পরম মুক্তি
ঘ) রাজ্য শাসন
উত্তর: গ) পরম মুক্তি