মানব সভ্যতার বিকাশের ইতিহাসে সিন্ধু ও বৈদিক সভ্যতা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই দুটি সভ্যতা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। সিন্ধু সভ্যতা ছিল সুপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থা ও উন্নত অর্থনীতির এক অনন্য নিদর্শন, আর বৈদিক সভ্যতা ছিল ধর্মীয় বিশ্বাস ও সামাজিক ব্যবস্থার বিকাশের যুগ।
সিন্ধু সভ্যতা মূলত হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর মতো নগরগুলোর মাধ্যমে উন্নতি লাভ করেছিল। অন্যদিকে, বৈদিক সভ্যতা আর্যদের আগমনের পর গড়ে ওঠে এবং ভারতীয় সমাজে নানা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে। দুটি সভ্যতার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য থাকলেও উভয় সভ্যতাই পরবর্তী ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে।
সিন্ধু সভ্যতা
সিন্ধু সভ্যতা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নগরসভ্যতা, যা খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ সালের কাছাকাছি সময়ে বিকশিত হয়েছিল। এটি সিন্ধু ও ঘগর-হাকরা নদীর অববাহিকায় বিস্তৃত ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ভিত্তিতে জানা যায়, এই সভ্যতা ছিল সুসংগঠিত, সমৃদ্ধ ও অত্যন্ত উন্নত।
এই সভ্যতার বিশেষত্ব ছিল তার উন্নত নগর পরিকল্পনা, শক্তিশালী অর্থনীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সম্মিলিত জীবনযাত্রা। তবে খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ সালের দিকে কোনো এক অজানা কারণে এই সভ্যতা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
নগর পরিকল্পনা
সিন্ধু সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর উন্নত নগর পরিকল্পনা। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে দেখা যায়, হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো নগরগুলি ছিল সুপরিকল্পিত এবং আধুনিক নগরায়নের নিদর্শন বহন করে।
রাস্তা ও অবকাঠামো
নগরগুলি পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠে, যেখানে প্রশস্ত রাস্তা ও নির্দিষ্ট ব্লকের ভিত্তিতে বসতি গড়া হতো। রাস্তাগুলো ছিল পরস্পরকে লম্বভাবে অতিক্রম করে নির্মিত, যা নগরবাসীর চলাচলের সুবিধা বৃদ্ধি করেছিল।
গৃহনির্মাণ ও স্থাপত্য
অধিকাংশ ঘর পোড়ামাটির ইট দিয়ে তৈরি ছিল। বাড়িগুলি এক বা দুইতলা বিশিষ্ট ছিল, এবং প্রতিটি ঘরে শৌচাগার ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল। এটি পরিষ্কারভাবে দেখায় যে, এই সভ্যতার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিত।
নিকাশি ও জলব্যবস্থা
সিন্ধু সভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল এর উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর থেকে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য পৃথক নালা তৈরি করা হয়েছিল, যা বড় নিকাশি ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।
জীবনযাত্রা
সিন্ধু সভ্যতার মানুষের জীবনযাত্রা ছিল সুসংগঠিত। তারা কৃষিকাজ, বাণিজ্য, শিল্পকর্ম ও নৌপরিবহণের ওপর নির্ভরশীল ছিল।
খাদ্য ও পোশাক
তারা মূলত গম, যব, ডাল ও ফলমূল খেত। পশুপালন ছিল সাধারণ ব্যাপার। পোশাক হিসেবে তাঁতের বস্ত্র পরিধান করত, এবং অলংকার পরিধানের প্রবণতাও ছিল।
পেশা ও শিল্পকর্ম
মৃৎশিল্প, ধাতব কাজ, বস্ত্র বয়ন ও গয়নানির্মাণ শিল্প অত্যন্ত উন্নত ছিল। বিশেষ করে, মোহর তৈরিতে এই সভ্যতার বিশেষ দক্ষতা ছিল।
সামাজিক ব্যবস্থা
সমাজ সম্ভবত সমতা নির্ভর ছিল। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে পার্থক্য তেমন সুস্পষ্ট ছিল না। ধর্মীয় পুরোহিতদের কিছু প্রভাব থাকলেও কোনো রাজা বা সম্রাটের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ধর্ম
সিন্ধু সভ্যতার ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই, তবে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মাধ্যমে কিছু অনুমান করা সম্ভব।
মাতৃদেবীর পূজা
সিন্ধু সভ্যতার মানুষ উর্বরতা দেবীর উপাসনা করত। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে পাওয়া মাতৃদেবীর মূর্তি থেকে ধারণা করা হয়, তারা প্রকৃতিপূজার প্রতি আকৃষ্ট ছিল।
পশুপূজা ও লিঙ্গপূজা
একটি শিলামূর্তিতে একটি যোগীসদৃশ ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছে, যা কিছু গবেষকের মতে শিব বা পশুপতি দেবতার আদিরূপ হতে পারে। এছাড়া, লিঙ্গ ও যোনির প্রতীকও পাওয়া গেছে, যা পরবর্তী হিন্দু ধর্মের প্রভাবের পূর্বসূচনা বলে মনে করা হয়।
অর্থনীতি
সিন্ধু সভ্যতার অর্থনীতি ছিল কৃষিনির্ভর, তবে বাণিজ্য ও কারুশিল্পেও এই সভ্যতার অগ্রগতি ছিল।
কৃষি ও পশুপালন
গম, যব, তুলো, ডাল ও সরষে চাষ হতো। সিন্ধু সভ্যতাবাসীরা পশুপালনে পারদর্শী ছিল এবং তারা গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পালন করত।
বাণিজ্য ও মুদ্রা
সিন্ধু সভ্যতার বাণিজ্য ছিল সুসংগঠিত। স্থানীয় ও দূরবর্তী অঞ্চলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল, বিশেষ করে মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে। মুদ্রা ব্যবস্থার কোনো প্রমাণ নেই, তবে বিনিময় প্রথার প্রচলন ছিল।
পতনের কারণ
সিন্ধু সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ সালের দিকে ধ্বংস হতে শুরু করে। পতনের কারণ নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়
নদী প্রবাহের পরিবর্তন, ভূমিকম্প, বন্যা বা খরার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় এই সভ্যতার পতনের অন্যতম কারণ হতে পারে।
আর্যদের আগমন
কিছু ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন যে, আর্যদের আগমন ও আক্রমণের ফলে সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হয়। যদিও এটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
বৈদিক সভ্যতা
বৈদিক সভ্যতা সিন্ধু সভ্যতার পর ভারতীয় উপমহাদেশে গড়ে ওঠে। এই সভ্যতার মূল ভিত্তি ছিল বৈদিক ধর্ম, সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা।
সামাজিক জীবন
সমাজ চারটি বর্ণে বিভক্ত ছিল – ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। ব্রাহ্মণরা পুরোহিত, ক্ষত্রিয়রা যোদ্ধা, বৈশ্যরা ব্যবসায়ী ও কৃষক এবং শূদ্ররা শ্রমিক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ধর্মীয় জীবন
বৈদিক যুগের ধর্ম ছিল মূলত বহুদেববাদী। ইন্দ্র, অগ্নি, বরুণ ও সোম দেবতার পূজা করা হতো। যজ্ঞ ও মন্ত্রোচ্চারণ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।
অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা
কৃষি ছিল প্রধান পেশা। সমাজপতির নেতৃত্বে গোষ্ঠী পরিচালিত হতো এবং পরে রাজতন্ত্র বিকশিত হয়।
উপসংহার
সিন্ধু ও বৈদিক সভ্যতা ভারতীয় ইতিহাসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সিন্ধু সভ্যতা ছিল একটি উন্নত নগরসভ্যতা, আর বৈদিক সভ্যতা সমাজ, ধর্ম ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়েছিল। এই দুই সভ্যতার উত্তরাধিকার আজও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিদ্যমান।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতা কবে বিকশিত হয়?
উত্তর : খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ সালের কাছাকাছি
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার প্রধান দুটি নগরের নাম কী?
উত্তর : হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতা কোন নদীর অববাহিকায় বিস্তৃত ছিল?
উত্তর : সিন্ধু ও ঘগর-হাকরা নদীর অববাহিকায়
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার পতনের সময়কাল কী?
উত্তর : খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ সালের দিকে
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার ঘর তৈরিতে কোন উপাদান ব্যবহৃত হতো?
উত্তর : পোড়ামাটির ইট
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার মানুষের খাদ্য কী ছিল?
উত্তর : গম, যব, ডাল ও ফলমূল
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার মানুষের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কী ছিল?
উত্তর : কৃষি, বাণিজ্য ও কারুশিল্প
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে কী জানা যায়?
উত্তর : মাতৃদেবী, পশুপতি দেবতা ও লিঙ্গপূজার প্রচলন ছিল
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার পতনের সম্ভাব্য কারণ কী?
উত্তর : প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও আর্যদের আগমন
প্রশ্ন: বৈদিক সভ্যতা কোন জনগোষ্ঠীর আগমনের ফলে গড়ে ওঠে?
উত্তর : আর্যদের
প্রশ্ন: বৈদিক সভ্যতার সমাজ কত ভাগে বিভক্ত ছিল?
উত্তর : চার ভাগে – ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র
প্রশ্ন: বৈদিক যুগে প্রধান দেবতা কারা ছিলেন?
উত্তর : ইন্দ্র, অগ্নি, বরুণ ও সোম
প্রশ্ন: বৈদিক সভ্যতায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মূল অংশ কী ছিল?
উত্তর : যজ্ঞ ও মন্ত্রোচ্চারণ
প্রশ্ন: বৈদিক যুগে প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কী ছিল?
উত্তর : কৃষি
প্রশ্ন: বৈদিক সমাজের নেতৃত্ব কাদের হাতে ছিল?
উত্তর : সমাজপতি ও পরে রাজাদের হাতে
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার নগর পরিকল্পনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : প্রশস্ত রাস্তা ও উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার মানুষ কীভাবে ব্যবসা করত?
উত্তর : বিনিময় প্রথার মাধ্যমে
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতায় গৃহস্থালির পানির ব্যবস্থাপনা কেমন ছিল?
উত্তর : প্রতিটি ঘরে শৌচাগার ও নিকাশি ব্যবস্থা ছিল
প্রশ্ন: বৈদিক যুগের ধর্মীয় রীতি কীভাবে সংরক্ষিত ছিল?
উত্তর : বৈদিক সাহিত্য ও মন্ত্রের মাধ্যমে
প্রশ্ন: সিন্ধু ও বৈদিক সভ্যতার প্রধান পার্থক্য কী?
উত্তর : সিন্ধু সভ্যতা নগরকেন্দ্রিক, বৈদিক সভ্যতা ধর্ম ও সমাজকেন্দ্রিক
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার প্রধান দুটি নগর কোনটি?
ক) পাটলিপুত্র ও উজ্জয়িনী
খ) মথুরা ও অযোধ্যা
গ) হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো
ঘ) তক্ষশিলা ও কনৌজ
উত্তর: গ) হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার পতনের সম্ভাব্য কারণ কী?
ক) দুর্ভিক্ষ
খ) প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও আর্যদের আগমন
গ) মহামারী
ঘ) ইউরোপীয়দের আক্রমণ
উত্তর: খ) প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও আর্যদের আগমন
প্রশ্ন: বৈদিক সভ্যতার সমাজ কতটি বর্ণে বিভক্ত ছিল?
ক) তিনটি
খ) চারটি
গ) পাঁচটি
ঘ) ছয়টি
উত্তর: খ) চারটি
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার অর্থনীতি কীসের ওপর নির্ভরশীল ছিল?
ক) খনি ও লোহা উৎপাদন
খ) কৃষি, বাণিজ্য ও কারুশিল্প
গ) পশুপালন ও লবণ ব্যবসা
ঘ) সামরিক অভিযান
উত্তর: খ) কৃষি, বাণিজ্য ও কারুশিল্প
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার মানুষ কীসের মাধ্যমে ব্যবসা করত?
ক) মুদ্রা
খ) বিনিময় প্রথা
গ) সোনার বার
ঘ) ব্যাংক
উত্তর: খ) বিনিময় প্রথা
প্রশ্ন: বৈদিক যুগের প্রধান ধর্মীয় আচার কী ছিল?
ক) মন্দির নির্মাণ
খ) যজ্ঞ ও মন্ত্রোচ্চারণ
গ) উপবাস
ঘ) দেবদেবীর মূর্তি স্থাপন
উত্তর: খ) যজ্ঞ ও মন্ত্রোচ্চারণ
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতায় কোন দেবতার উপাসনা করা হতো?
ক) বিষ্ণু
খ) পশুপতি
গ) গণেশ
ঘ) সূর্য
উত্তর: খ) পশুপতি
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার ঘর নির্মাণে কোন উপাদান ব্যবহৃত হতো?
ক) কাঠ
খ) পোড়ামাটির ইট
গ) বালিপাথর
ঘ) সিমেন্ট
উত্তর: খ) পোড়ামাটির ইট
প্রশ্ন: বৈদিক যুগের সমাজপতি কারা ছিলেন?
ক) ব্রাহ্মণ
খ) বৈশ্য
গ) শূদ্র
ঘ) রাজা
উত্তর: ঘ) রাজা
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার রাস্তার পরিকল্পনা কেমন ছিল?
ক) সরু ও অপরিকল্পিত
খ) প্রশস্ত ও পরিকল্পিত
গ) কাঁচা রাস্তা
ঘ) বন্ধ গলির মতো
উত্তর: খ) প্রশস্ত ও পরিকল্পিত
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা কেমন ছিল?
ক) উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা
খ) কোনো পরিকল্পনা ছিল না
গ) কূপের ওপর নির্ভরশীল
ঘ) কৃত্রিম জলাশয়
উত্তর: ক) উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা
প্রশ্ন: বৈদিক যুগের প্রধান পেশা কী ছিল?
ক) ব্যবসা
খ) কৃষি
গ) মৃৎশিল্প
ঘ) যুদ্ধ
উত্তর: খ) কৃষি
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতায় প্রধান খাদ্য কী ছিল?
ক) গম, যব, ডাল ও ফলমূল
খ) চাল ও মাছ
গ) মাংস ও রুটি
ঘ) মধু ও মাংস
উত্তর: ক) গম, যব, ডাল ও ফলমূল
প্রশ্ন: বৈদিক যুগে ব্রাহ্মণদের প্রধান কাজ কী ছিল?
ক) যুদ্ধ
খ) কৃষিকাজ
গ) ধর্মীয় আচার ও পুরোহিতের দায়িত্ব পালন
ঘ) ব্যবসা
উত্তর: গ) ধর্মীয় আচার ও পুরোহিতের দায়িত্ব পালন
প্রশ্ন: বৈদিক যুগের প্রধান দেবতা কে ছিলেন?
ক) শিব
খ) ইন্দ্র
গ) বিষ্ণু
ঘ) ব্রহ্মা
উত্তর: খ) ইন্দ্র
প্রশ্ন: বৈদিক যুগের ধর্মীয় গ্রন্থ কোনটি?
ক) পুরাণ
খ) মহাভারত
গ) ঋগ্বেদ
ঘ) রামায়ণ
উত্তর: গ) ঋগ্বেদ
প্রশ্ন: সিন্ধু সভ্যতার মানুষ কীভাবে কৃষিকাজ করত?
ক) লাঙ্গল দিয়ে
খ) হাত দিয়ে
গ) মেশিন দিয়ে
ঘ) আধুনিক ট্রাক্টর দিয়ে
উত্তর: ক) লাঙ্গল দিয়ে