প্রশ্নঃ অক্ষাংশ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখার উত্তর বা দক্ষিণ দিকে কোনো স্থানের পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত কল্পিত রেখা যদি টানা হয়, তবে সেই রেখা নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে যে কোণ সৃষ্টি করে, তাকে অক্ষাংশ বলে।
প্রশ্নঃ নিরক্ষীয় তল কাকে বলে?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীকে দুটি সমান অংশে বিভক্ত করলে যে কল্পিত সমতল তল পাওয়া যায়, তাকে নিরক্ষীয় তল বলা হয়।
প্রশ্নঃ অক্ষাংশের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ মান কত?
উত্তরঃ অক্ষাংশের সর্বনিম্ন মান 0° এবং সর্বোচ্চ মান 90°।
প্রশ্নঃ কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে অক্ষাংশ পরিমাপ করা হয়?
উত্তরঃ অক্ষাংশ পরিমাপের জন্য সেক্সট্যান্ট এবং ট্রানজিট থিওডোলাইট নামক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ উত্তর গোলার্ধে কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয়ের জন্য কোন্ নক্ষত্রের সাহায্য নেওয়া হয়?
উত্তরঃ উত্তর গোলার্ধে অক্ষাংশ নির্ণয়ের জন্য ধ্রুবতারা (Polaris) ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ দক্ষিণ গোলার্ধে কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয়ের জন্য কোন্ নক্ষত্রের সাহায্য নেওয়া হয়?
উত্তরঃ দক্ষিণ গোলার্ধে অক্ষাংশ নির্ণয়ে হ্যাডলির অকট্যান্ট ব্যবহার করে উপযুক্ত নক্ষত্রের সাহায্য নেওয়া হয়।
প্রশ্নঃ পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তাগুলি কী কী?
উত্তরঃ পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তাগুলি হল:
i. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে সহায়তা,
ii. জলপথ ও আকাশপথে পরিবহণে দিক নির্ধারণ,
iii. প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ পরিচালনায় সহায়তা,
iv. সামরিক কার্যক্রমে সহায়তা,
v. আন্তর্জাতিক ও জাতীয় রাজনৈতিক সীমানা নির্ধারণ।
প্রশ্নঃ অক্ষরেখা কী?
উত্তরঃ পৃথিবীকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঘিরে থাকা বৃত্তাকার কাল্পনিক রেখাগুলিকে অক্ষরেখা বলা হয়।
প্রশ্নঃ অক্ষরেখাকে সমাক্ষরেখা বলা হয় কেন?
উত্তরঃ প্রতিটি অক্ষরেখা সমান অক্ষাংশ বিশিষ্ট স্থানগুলিকে যুক্ত করে বলে এগুলিকে সমাক্ষরেখা বলা হয়।
প্রশ্নঃ পৃথিবীতে মোট কতটি অক্ষরেখা রয়েছে?
উত্তরঃ পৃথিবীতে মোট ১৭৯টি অক্ষরেখা রয়েছে।
প্রশ্নঃ অক্ষরেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর পৃষ্ঠে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখাগুলিকে অক্ষরেখা বলা হয়।
প্রশ্নঃ অক্ষরেখাকে সমাক্ষরেখা বলা হয় কেন?
উত্তরঃ প্রতিটি অক্ষরেখা সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থানগুলিকে সংযুক্ত করে বলে এদের সমাক্ষরেখা বলা হয়।
প্রশ্নঃ পৃথিবীতে মোট অক্ষরেখার সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ পৃথিবীতে মোট ১৭৯টি অক্ষরেখা রয়েছে।
প্রশ্নঃ পৃথিবীর প্রধান পাঁচটি অক্ষরেখার নাম লেখো।
উত্তরঃ পৃথিবীর প্রধান পাঁচটি অক্ষরেখা হল–
● নিরক্ষরেখা,
● কর্কটক্রান্তি রেখা,
● মকরক্রান্তি রেখা,
● সুমেরুবৃত্ত রেখা ও
● কুমেরুবৃত্ত রেখা।
প্রশ্নঃ নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলা হয় কেন?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখা একটি পরিপূর্ণ বৃত্ত এবং পৃথিবীর কেন্দ্রে অঙ্কিত হওয়ায় এটি পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত, তাই একে মহাবৃত্ত বলা হয়।
প্রশ্নঃ মহাবৃত্ত কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো গোলকের পৃষ্ঠে অঙ্কিত বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু যদি গোলকের কেন্দ্রবিন্দুর সঙ্গে একই বিন্দুতে থাকে, তবে সেই বৃত্তকে মহাবৃত্ত বলা হয়।
প্রশ্নঃ অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ
i. অক্ষরেখাগুলি পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত এবং পরিপূর্ণ বৃত্তাকার।
ii. এগুলি নিরক্ষরেখার সমান্তরালে অবস্থান করে।
iii. একই অক্ষরেখায় অবস্থিত সকল স্থানের অক্ষাংশ সমান।
iv. এদের পরিধি সমান নয়, নিরক্ষরেখার পরিধি সর্বাধিক।
প্রশ্নঃ অক্ষরেখার গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ
● অবস্থান নির্ণয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়।
● তাপমণ্ডলের বিভাজন করতে সাহায্য করে।
● জলবায়ু নির্ধারণে সহায়ক।
● প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক সীমানা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ কোন অক্ষরেখা সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ সীমা হিসেবে পরিচিত?
উত্তরঃ কর্কটক্রান্তি রেখা সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ সীমা হিসেবে পরিচিত।
প্রশ্নঃ কোন অক্ষরেখা সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ সীমা হিসেবে পরিচিত?
উত্তরঃ মকরক্রান্তি রেখা সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ সীমা হিসেবে পরিচিত।
প্রশ্নঃ ভারতের উপর দিয়ে কোন কোন রাজ্যের ওপর কর্কটক্রান্তি রেখা বিস্তৃত হয়েছে?
উত্তরঃ কর্কটক্রান্তি রেখা ভারতের রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে।
প্রশ্নঃ নিরক্ষরেখাকে বিষুবরেখা বলা হয় কেন?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে দুই সমান গোলার্ধে বিভক্ত করে এবং এর বরাবর দিন ও রাত সমান হওয়ায় একে বিষুবরেখা বলা হয়।
প্রশ্নঃ তাপমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর পৃষ্ঠে অক্ষাংশের তারতম্যের ফলে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন তাপমাত্রাযুক্ত বলয়বিশিষ্ট অঞ্চলকে তাপমণ্ডল বলা হয়।
প্রশ্নঃ পৃথিবীকে অক্ষাংশের ভিত্তিতে কয়টি তাপমণ্ডলে ভাগ করা যায় ও কী কী?
উত্তরঃ অক্ষাংশের ভিত্তিতে পৃথিবীকে তিনটি তাপমণ্ডলে ভাগ করা যায়–
● উষ্ণমণ্ডল,
● নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল ও
● হিমমণ্ডল।
প্রশ্নঃ উষ্ণমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখা থেকে কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে সূর্যের রশ্মি প্রায় সরাসরি পড়ায় এই অঞ্চল সর্বাধিক উষ্ণ থাকে। একেই উষ্ণমণ্ডল বলা হয়।
প্রশ্নঃ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে সুমেরুবৃত্ত রেখা এবং মকরক্রান্তি রেখা থেকে কুমেরুবৃত্ত রেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়ে, ফলে এই অঞ্চল নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল কয়ভাগে বিভক্ত এবং কী কী ভাগ আছে?
উত্তরঃ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল দুই ভাগে বিভক্ত–
● উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল
● শীতল নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল।
প্রশ্নঃ হিমমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ সুমেরুবৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত রেখার বাইরের অঞ্চল, যেখানে সূর্যরশ্মি সারা বছর তির্যকভাবে পড়ে, ফলে এখানে অতিরিক্ত শীতলতা বিরাজ করে। এই অঞ্চলকে হিমমণ্ডল বলা হয়।
প্রশ্নঃ দুই মেরু অঞ্চলে ছয় মাস দিন ও ছয় মাস রাত কেন হয়?
উত্তরঃ পৃথিবী ৬৬½° কৌণিকভাবে হেলে ঘোরার কারণে সূর্যরশ্মির পতনকোণে পার্থক্য হয়। ফলে এক এক মেরুতে ছয় মাস দিন এবং অপর মেরুতে ছয় মাস রাত হয়।
প্রশ্নঃ দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর উপর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখাগুলিকে দ্রাঘিমারেখা বলা হয়, যা অর্ধবৃত্তাকার।
প্রশ্নঃ পৃথিবীতে মোট কতটি দ্রাঘিমারেখা রয়েছে?
উত্তরঃ পৃথিবীতে মোট ৩৬০টি দ্রাঘিমারেখা রয়েছে।
প্রশ্নঃ দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ
i. দ্রাঘিমারেখাগুলি উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত।
ii. সর্বনিম্ন মান ০° এবং সর্বোচ্চ মান ১৮০°।
iii. এগুলি অর্ধবৃত্ত এবং সবসময় পরস্পরের সাথে মিলিত হয়।
iv. সবগুলির পরিধি সমান হলেও এগুলি পরস্পর সমান্তরাল নয়।
প্রশ্নঃ ভূপৃষ্ঠে অঙ্কিত অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার ছেদ থেকে যে জালকের সৃষ্টি হয়, তাকে কী বলা হয়?
উত্তরঃ গ্লোবের উপর অঙ্কিত অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর ছেদ করার ফলে যে জালকের সৃষ্টি হয়, তাকে ভূ-জালক বা ভৌগোলিক জালক বলা হয়।
প্রশ্নঃ গ্রিনউইচ মানমন্দিরের উপর দিয়ে অতিক্রম করা 0° দ্রাঘিমারেখাকে কী বলা হয়?
উত্তরঃ এই রেখাটিকে মূলমধ্যরেখা বা Prime Meridian বলা হয়। এটি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রশ্নঃ আন্তর্জাতিক তারিখরেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ মূলমধ্যরেখার ঠিক বিপরীতে অবস্থিত 180° দ্রাঘিমারেখা আন্তর্জাতিক তারিখরেখা নামে পরিচিত। এটি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রশ্নঃ পৃথিবী 24 ঘণ্টায় কত ডিগ্রি দ্রাঘিমা অতিক্রম করে?
উত্তরঃ পৃথিবী এক দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৬০° দ্রাঘিমা অতিক্রম করে।
প্রশ্নঃ ১৫° দ্রাঘিমা অতিক্রম করতে পৃথিবীর কত সময় লাগে?
উত্তরঃ ১৫° দ্রাঘিমা অতিক্রম করতে পৃথিবীর ১ ঘণ্টা বা ৬০ মিনিট সময় লাগে।
প্রশ্নঃ ১° দ্রাঘিমা অতিক্রম করতে পৃথিবীর কত সময় লাগে?
উত্তরঃ ১° দ্রাঘিমা অতিক্রম করতে পৃথিবীর ৪ মিনিট সময় লাগে।
প্রশ্নঃ ১ মিনিট দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য কত হয়?
উত্তরঃ ১ মিনিট দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ সেকেন্ড।
প্রশ্নঃ স্থানীয় সময় কাকে বলে?
উত্তরঃ সূর্য যখন যে দ্রাঘিমারেখার ঠিক মাথার ওপরে থাকে, তখন সেই দ্রাঘিমারেখার সময়কে মধ্যাহ্ন ধরা হয়। এই ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়কে স্থানীয় সময় বলা হয়।
প্রশ্নঃ প্রমাণ সময় বা Standard Time কী?
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে কোনো দেশ বা অঞ্চলের সরকারিভাবে গৃহীত সময় হিসেবে ধরা হলে, সেটিকে প্রমাণ সময় বলা হয়।
প্রশ্নঃ ভারতের প্রমাণ সময় কোন দ্রাঘিমারেখার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত?
উত্তরঃ ভারতের প্রমাণ সময় নির্ধারিত হয় ৮২°৩০’ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময় অনুসারে, যা এলাহাবাদের কাছ দিয়ে অতিক্রম করেছে।
প্রশ্নঃ ভারতের প্রমাণ সময় ও গ্রিনউইচের সময়ের মধ্যে পার্থক্য কত?
উত্তরঃ ভারতের প্রমাণ সময় গ্রিনউইচের সময়ের থেকে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এগিয়ে।
প্রশ্নঃ AM ও PM বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ মধ্যরাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টার আগের সময়কে Ante Meridian বা AM বলা হয় এবং দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টার আগের সময়কে Post Meridian বা PM বলা হয়।
প্রশ্নঃ ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’ বলে কোন দেশকে ডাকা হয়?
উত্তরঃ জাপানকে ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’ বলা হয়।
প্রশ্নঃ কোনো স্থানবিন্দুর বিপরীতে অবস্থিত স্থানের নাম কী?
উত্তরঃ কোনো স্থানের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত স্থানের নাম প্রতিপাদ স্থান।
প্রশ্নঃ কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে দ্রাঘিমার ব্যবধান কত?
উত্তরঃ কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে দ্রাঘিমার ব্যবধান হয় ১৮০°।
প্রশ্নঃ প্রতিপাদ স্থানের সঙ্গে সময়ের ব্যবধান কত হয়?
উত্তরঃ প্রতিপাদ স্থান এবং তার বিপরীত স্থানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হয় ১২ ঘণ্টা।
প্রশ্নঃ গ্রিনউইচের পূর্বে অবস্থিত স্থানের সময় কি এগিয়ে থাকে না পিছিয়ে?
উত্তরঃ গ্রিনউইচের পূর্বে অবস্থিত স্থানের সময় সবসময় এগিয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ গ্রিনউইচের পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের সময় কি এগিয়ে থাকে না পিছিয়ে?
উত্তরঃ গ্রিনউইচের পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের সময় সবসময় পিছিয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ দুটি স্থান যদি একই গোলার্ধে থাকে, তবে তাদের দ্রাঘিমার পার্থক্য কীভাবে নির্ণয় করবে?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে দুটি স্থানের দ্রাঘিমার মানের মধ্যে বিয়োগ করলে তাদের দ্রাঘিমার পার্থক্য পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ দুটি স্থান যদি ভিন্ন গোলার্ধে থাকে, তাহলে দ্রাঘিমার পার্থক্য কীভাবে নির্ণয় করবে?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে দুটি স্থানের দ্রাঘিমার মান যোগ করতে হবে। যদি যোগফল ১৮০°-এর বেশি হয়, তাহলে ৩৬০° থেকে সেই যোগফল বিয়োগ করতে হবে।
প্রশ্নঃ ১° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য কত হয়?
উত্তরঃ ১° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
প্রশ্নঃ দুটি স্থানের সময়ের পার্থক্য থেকে দ্রাঘিমার পার্থক্য কীভাবে নির্ণয় করা যায়?
উত্তরঃ দুটি স্থানের সময়ের পার্থক্যকে ৪ দিয়ে ভাগ করলে দ্রাঘিমার পার্থক্য নির্ধারণ করা যায়।
প্রশ্নঃ ক্রনোমিটার কী?
উত্তরঃ ক্রনোমিটার একটি বিশেষ দোলকযুক্ত ঘড়ি, যা সবসময় গ্রিনউইচের সময় নির্দেশ করে এবং প্রধানত নাবিকরা এটি ব্যবহার করে।
প্রশ্নঃ কোনো স্থানের অবস্থান যদি পূর্ব দিকে হয়, তাহলে অপর স্থানের দ্রাঘিমা কীভাবে নির্ধারণ করবে?
উত্তরঃ পূর্ব দিকের স্থানের দ্রাঘিমার সাথে দ্রাঘিমার পার্থক্য যোগ করতে হবে। তবে যদি পার্থক্য ৯০° বা তার বেশি হয়, তাহলে যোগফল থেকে বিয়োগ করতে হবে।
প্রশ্নঃ কোনো স্থানের অবস্থান যদি পশ্চিম দিকে হয়, তাহলে অপর স্থানের দ্রাঘিমা কীভাবে নির্ধারণ করবে?
উত্তরঃ পশ্চিম দিকের স্থানের দ্রাঘিমা নির্ধারণ করতে হলে অপর স্থানের দ্রাঘিমা থেকে পার্থক্য বিয়োগ করতে হবে।