পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুই কোনো না কোনো পদার্থ দ্বারা গঠিত। পদার্থের বিভিন্ন অবস্থা ও ধর্ম রয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পদার্থের প্রকৃতি বোঝার জন্য এটি বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। এই অধ্যায়ে আমরা পদার্থের সংজ্ঞা, শ্রেণিবিভাগ, সংকর ও বিশুদ্ধ পদার্থ, মৌল ও যৌগের পার্থক্য এবং শারীরিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পদার্থের সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ
পদার্থ হলো এমন কিছু, যা স্থান দখল করে এবং যার ভর আছে। প্রতিটি পদার্থের নির্দিষ্ট ধর্ম ও অবস্থা রয়েছে, যা তার আণবিক বিন্যাসের ওপর নির্ভর করে। পদার্থকে মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়—ঠোস, তরল এবং গ্যাস।
ঠোস পদার্থ
যেসব পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে, সেগুলোকে ঠোস পদার্থ বলা হয়। এতে অণুগুলি ঘন সন্নিবিষ্ট অবস্থায় থাকে এবং খুব বেশি নড়াচড়া করতে পারে না।
- ধাতু, কাঠ, পাথর ইত্যাদি ঠোস পদার্থের উদাহরণ।
- এটি চাপ প্রয়োগ করলেও সহজে আকার পরিবর্তন করে না।
- কঠিন পদার্থের কণা বা অণুর মধ্যে আকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি থাকে।
তরল পদার্থ
যেসব পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন থাকলেও নির্দিষ্ট আকার থাকে না, সেগুলোকে তরল পদার্থ বলা হয়। তরল পদার্থ পাত্রের আকৃতি অনুসারে নিজেকে রূপান্তরিত করতে পারে।
- জল, দুধ, তেল ইত্যাদি তরল পদার্থের উদাহরণ।
- তরলের অণুগুলি ঠোসের তুলনায় দূরবর্তী অবস্থায় থাকে, তাই এটি প্রবাহিত হতে পারে।
- তরল পদার্থের আকর্ষণ শক্তি মাঝারি মাত্রার হয়।
গ্যাসীয় পদার্থ
যেসব পদার্থের না নির্দিষ্ট আকার থাকে, না নির্দিষ্ট আয়তন, সেগুলোকে গ্যাসীয় পদার্থ বলা হয়। গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলি অত্যন্ত দূরবর্তী অবস্থায় থাকে এবং স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে।
- বায়ু, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাসীয় পদার্থের উদাহরণ।
- গ্যাস সহজেই সংকুচিত বা সম্প্রসারিত হতে পারে।
- গ্যাসীয় পদার্থের আকর্ষণ শক্তি অত্যন্ত কম থাকে, তাই এটি সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
সংকর পদার্থ ও বিশুদ্ধ পদার্থ
পদার্থকে তাদের গঠন অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—বিশুদ্ধ পদার্থ এবং সংকর পদার্থ। প্রতিটি শ্রেণির পদার্থের ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা তাদের সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
বিশুদ্ধ পদার্থ
যে পদার্থে এক ধরনের মৌল বা যৌগ বিদ্যমান এবং যার গঠন সর্বত্র একরকম, তাকে বিশুদ্ধ পদার্থ বলে। বিশুদ্ধ পদার্থের গুণাগুণ সব জায়গায় একইরকম থাকে।
- বিশুদ্ধ লোহা, বিশুদ্ধ জল ইত্যাদি বিশুদ্ধ পদার্থের উদাহরণ।
- এটি গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কের মতো নির্দিষ্ট ভৌত ধর্ম প্রদর্শন করে।
- বিশুদ্ধ পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠন পরিবর্তন করতে পারে।
সংকর পদার্থ
যে পদার্থ একাধিক বিশুদ্ধ পদার্থের সংমিশ্রণে গঠিত এবং যার গঠন সর্বত্র একইরকম নয়, তাকে সংকর পদার্থ বলে। এটি বিভিন্ন অনুপাতে বিভিন্ন পদার্থের মিশ্রণ হতে পারে।
- কাঁচ, ইস্পাত, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি সংকর পদার্থের উদাহরণ।
- সংকর পদার্থের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন গুণাগুণ থাকতে পারে।
- এটি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উভয়ভাবেই তৈরি হতে পারে।
মৌল, যৌগ ও মিশ্রণের পার্থক্য
প্রতিটি পদার্থ মৌল, যৌগ বা মিশ্রণ দ্বারা গঠিত। এগুলোর গঠন ও বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, যা তাদের ভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে।
মৌল
যেসব পদার্থ একটিমাত্র ধরনের পরমাণু দ্বারা গঠিত এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভাঙা যায় না, সেগুলোকে মৌল বলে।
- স্বর্ণ, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি মৌল উদাহরণ।
- মৌলকে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভেঙে অন্য পদার্থে রূপান্তর করা যায় না।
- এটি পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা দ্বারা গঠিত।
যৌগ
যেসব পদার্থ দুটি বা ততোধিক মৌল রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তৈরি হয়, সেগুলোকে যৌগ বলে।
- জল (H₂O), কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) ইত্যাদি যৌগের উদাহরণ।
- যৌগকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে তার উপাদান মৌলে বিভক্ত করা যায়।
- যৌগের রাসায়নিক ধর্ম তার গঠক মৌলগুলোর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে।
মিশ্রণ
যেসব পদার্থ একাধিক মৌল বা যৌগের অনিয়মিত সংমিশ্রণে গঠিত এবং রাসায়নিক পরিবর্তন ছাড়াই পৃথক করা যায়, সেগুলোকে মিশ্রণ বলে।
- বায়ু, দুগ্ধ, লবণ জল ইত্যাদি মিশ্রণের উদাহরণ।
- মিশ্রণের প্রতিটি উপাদান নিজস্ব ধর্ম বজায় রাখে।
- এটি সরল পদ্ধতিতে পৃথক করা সম্ভব, যেমন—ছাঁকনি, পাতন, চুম্বক ব্যবহার ইত্যাদি।
শারীরিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন
পদার্থের ধর্ম ও প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তনকে শারীরিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এই পরিবর্তন আমাদের চারপাশে প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটে।
শারীরিক পরিবর্তন
যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের আকার বা অবস্থা পরিবর্তিত হয় কিন্তু রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত থাকে, তাকে শারীরিক পরিবর্তন বলে।
- বরফ গলা, জল বাষ্পে পরিণত হওয়া ইত্যাদি শারীরিক পরিবর্তনের উদাহরণ।
- এতে পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম অপরিবর্তিত থাকে।
- শারীরিক পরিবর্তন সাধারণত বিপরীতমুখী হতে পারে।
রাসায়নিক পরিবর্তন
যে পরিবর্তনের ফলে নতুন রাসায়নিক পদার্থ সৃষ্টি হয় এবং পুরনো পদার্থের গঠন পরিবর্তিত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে।
- লোহায় মরচে ধরা, দুধ থেকে দই তৈরি হওয়া ইত্যাদি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ।
- এটি সাধারণত বিপরীতমুখী নয়, অর্থাৎ একবার পরিবর্তিত হলে আগের অবস্থায় ফেরা সম্ভব নয়।
- রাসায়নিক পরিবর্তনের সময় তাপ বা আলো নির্গত হতে পারে।
এই অধ্যায়ে আমরা পদার্থের প্রকৃতি, শ্রেণিবিভাগ, সংকর ও বিশুদ্ধ পদার্থের পার্থক্য, মৌল ও যৌগের গঠন এবং শারীরিক ও রাসায়নিক পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করলাম। এসব বিষয় বোঝা গেলে রসায়নশাস্ত্রের মূল ভিত্তি দৃঢ় হয় এবং এটি পরবর্তী জটিল বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: পদার্থ কী?
উত্তর: পদার্থ হলো এমন কিছু, যা স্থান দখল করে এবং যার ভর আছে।
প্রশ্ন: পদার্থকে কত ভাগে বিভক্ত করা হয়?
উত্তর: পদার্থকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়—ঠোস, তরল ও গ্যাস।
প্রশ্ন: ঠোস পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: ঠোস পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে এবং অণুগুলি ঘন সন্নিবিষ্ট থাকে।
প্রশ্ন: তরল পদার্থের আকৃতি কেমন হয়?
উত্তর: তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন থাকলেও নির্দিষ্ট আকার থাকে না; এটি পাত্রের আকৃতি গ্রহণ করে।
প্রশ্ন: গ্যাসীয় পদার্থ কীভাবে আচরণ করে?
উত্তর: গ্যাসীয় পদার্থের না নির্দিষ্ট আকার থাকে, না নির্দিষ্ট আয়তন, এবং এটি সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশ্ন: বিশুদ্ধ পদার্থ কী?
উত্তর: যে পদার্থে এক ধরনের মৌল বা যৌগ থাকে এবং যার গঠন সর্বত্র একরকম, তাকে বিশুদ্ধ পদার্থ বলে।
প্রশ্ন: সংকর পদার্থ কী?
উত্তর: একাধিক বিশুদ্ধ পদার্থের মিশ্রণে গঠিত পদার্থকে সংকর পদার্থ বলে।
প্রশ্ন: মৌল ও যৌগের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: মৌল এক ধরনের পরমাণু দ্বারা গঠিত, আর যৌগ দুই বা ততোধিক মৌল রাসায়নিক বন্ধনে যুক্ত হয়ে তৈরি হয়।
প্রশ্ন: জল কোন ধরনের যৌগ?
উত্তর: জল একটি রাসায়নিক যৌগ, যার রাসায়নিক সংকেত H₂O।
প্রশ্ন: মিশ্রণ কীভাবে পৃথক করা যায়?
উত্তর: মিশ্রণকে ছাঁকনি, পাতন, চুম্বক ইত্যাদি পদ্ধতিতে পৃথক করা যায়।
প্রশ্ন: শারীরিক পরিবর্তন কী?
উত্তর: যে পরিবর্তনে পদার্থের আকার বা অবস্থা পরিবর্তিত হয় কিন্তু রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত থাকে, তাকে শারীরিক পরিবর্তন বলে।
প্রশ্ন: রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ কী?
উত্তর: লোহায় মরচে ধরা, দুধ থেকে দই তৈরি হওয়া রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ।
প্রশ্ন: কোন পরিবর্তন সাধারণত বিপরীতমুখী হয়?
উত্তর: শারীরিক পরিবর্তন সাধারণত বিপরীতমুখী হয়।
প্রশ্ন: কোন পরিবর্তন সাধারণত অপরিবর্তনীয়?
উত্তর: রাসায়নিক পরিবর্তন সাধারণত অপরিবর্তনীয়।
প্রশ্ন: পদার্থের আকৃতি পরিবর্তন করা কোন পরিবর্তন?
উত্তর: এটি একটি শারীরিক পরিবর্তন।
প্রশ্ন: অক্সিজেন কী ধরনের পদার্থ?
উত্তর: অক্সিজেন একটি মৌল।
প্রশ্ন: লোহা ও কার্বনের সংমিশ্রণে কী গঠিত হয়?
উত্তর: ইস্পাত গঠিত হয়।
প্রশ্ন: গ্যাসের অণুগুলি কীভাবে থাকে?
উত্তর: গ্যাসের অণুগুলি অত্যন্ত দূরবর্তী অবস্থায় থাকে এবং স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে।
প্রশ্ন: জল গলে বরফ হওয়া কোন পরিবর্তন?
উত্তর: এটি শারীরিক পরিবর্তন।
প্রশ্ন: রাসায়নিক পরিবর্তনের সময় কী নির্গত হতে পারে?
উত্তর: রাসায়নিক পরিবর্তনের সময় তাপ বা আলো নির্গত হতে পারে।
মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন (MCQ)
প্রশ্ন: পদার্থ কত প্রকার?
ক) দুই প্রকার
খ) তিন প্রকার
গ) চার প্রকার
ঘ) পাঁচ প্রকার
উত্তর: খ) তিন প্রকার
প্রশ্ন: নিচের কোনটি ঠোস পদার্থের বৈশিষ্ট্য?
ক) নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে
খ) নির্দিষ্ট আয়তন থাকলেও নির্দিষ্ট আকার থাকে না
গ) আকার ও আয়তন পরিবর্তনশীল
ঘ) সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে
উত্তর: ক) নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে
প্রশ্ন: কোন পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন থাকলেও নির্দিষ্ট আকার থাকে না?
ক) গ্যাস
খ) তরল
গ) ঠোস
ঘ) প্লাজমা
উত্তর: খ) তরল
প্রশ্ন: গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী?
ক) এটি সংকুচিত বা সম্প্রসারিত হতে পারে
খ) এটি নির্দিষ্ট আকার ধরে রাখে
গ) অণুগুলি খুব ঘন সন্নিবিষ্ট থাকে
ঘ) এটি কঠিন পদার্থের মতো আচরণ করে
উত্তর: ক) এটি সংকুচিত বা সম্প্রসারিত হতে পারে
প্রশ্ন: বিশুদ্ধ পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী?
ক) এটি কেবলমাত্র একটি ধরনের মৌল বা যৌগ নিয়ে গঠিত
খ) এটি বিভিন্ন পদার্থের মিশ্রণ
গ) এর গঠন সর্বত্র আলাদা
ঘ) এটি পরিবর্তনশীল গঠনবিশিষ্ট
উত্তর: ক) এটি কেবলমাত্র একটি ধরনের মৌল বা যৌগ নিয়ে গঠিত
প্রশ্ন: কোনটি সংকর পদার্থ?
ক) বিশুদ্ধ লোহা
খ) বিশুদ্ধ জল
গ) ইস্পাত
ঘ) অক্সিজেন
উত্তর: গ) ইস্পাত
প্রশ্ন: মিশ্রণের উপাদানগুলো কীভাবে পৃথক করা যায়?
ক) রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে
খ) সাধারণ শারীরিক পদ্ধতিতে
গ) মিশ্রণের উপাদান পৃথক করা যায় না
ঘ) শুধুমাত্র আগুন দিয়ে
উত্তর: খ) সাধারণ শারীরিক পদ্ধতিতে
প্রশ্ন: মৌল কাকে বলে?
ক) এক ধরনের পরমাণু দ্বারা গঠিত পদার্থ
খ) দুই বা ততোধিক মৌলের মিশ্রণ
গ) শুধুমাত্র ধাতব পদার্থ
ঘ) শুধুমাত্র অজৈব পদার্থ
উত্তর: ক) এক ধরনের পরমাণু দ্বারা গঠিত পদার্থ
প্রশ্ন: কোনটি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ?
ক) বরফ গলে জল হওয়া
খ) কাগজ কাটা
গ) লোহায় মরচে ধরা
ঘ) কাচ ভাঙা
উত্তর: গ) লোহায় মরচে ধরা
প্রশ্ন: যৌগ কাকে বলে?
ক) এক ধরনের পরমাণু দ্বারা গঠিত পদার্থ
খ) রাসায়নিক বন্ধনে যুক্ত দুটি বা ততোধিক মৌল
গ) বিশুদ্ধ পদার্থ
ঘ) নির্দিষ্ট আকৃতির কঠিন পদার্থ
উত্তর: খ) রাসায়নিক বন্ধনে যুক্ত দুটি বা ততোধিক মৌল
প্রশ্ন: নিচের কোনটি শারীরিক পরিবর্তন?
ক) লোহায় মরচে ধরা
খ) দুধ থেকে দই তৈরি হওয়া
গ) কাগজ পোড়ানো
ঘ) বরফ গলে জল হওয়া
উত্তর: ঘ) বরফ গলে জল হওয়া
প্রশ্ন: রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে কী ঘটে?
ক) পদার্থের আকার পরিবর্তিত হয়
খ) নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয়
গ) পদার্থের অবস্থা পরিবর্তিত হয়
ঘ) কোনো পরিবর্তন ঘটে না
উত্তর: খ) নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয়
প্রশ্ন: গ্যাসের অণুগুলোর অবস্থান কেমন হয়?
ক) খুব ঘন সন্নিবিষ্ট
খ) মাঝারি দূরত্বে থাকে
গ) অত্যন্ত দূরবর্তী এবং স্বাধীনভাবে চলাচল করে
ঘ) একে অপরের সাথে আটকে থাকে
উত্তর: গ) অত্যন্ত দূরবর্তী এবং স্বাধীনভাবে চলাচল করে
প্রশ্ন: কার্বন ডাই অক্সাইড কোন ধরনের পদার্থ?
ক) মৌল
খ) যৌগ
গ) মিশ্রণ
ঘ) সংকর পদার্থ
উত্তর: খ) যৌগ