অধ্যায় ৩ মিশরীয় সভ্যতা

মিশরীয় সভ্যতা মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সভ্যতা। এটি গড়ে উঠেছিল নীল নদীর তীরে, যা মিশরের জীবনরেখা হিসেবে পরিচিত ছিল। মিশরীয়দের সমাজ, ধর্ম, স্থাপত্য ও বিজ্ঞানে অগ্রগতির জন্য এই সভ্যতা আজও বিস্ময়ের বিষয় হয়ে রয়েছে।

এই সভ্যতা প্রায় ৩০০০ বছর ধরে টিকে ছিল এবং এর সময়কালে অসংখ্য চমকপ্রদ স্থাপত্য, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও লিখন পদ্ধতির বিকাশ ঘটেছিল। মিশরীয়দের ধর্মবিশ্বাস এবং পিরামিডের মতো স্থাপত্যকীর্তি আজও মানুষকে বিস্মিত করে।

ভৌগোলিক অবস্থান ও নীল নদীর গুরুত্ব

মিশরীয় সভ্যতা মূলত গড়ে উঠেছিল নীল নদীর তীরে, কারণ এই নদী উর্বর ভূমি সরবরাহ করত, যা কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত উপযোগী ছিল। নদীর নিয়মিত বন্যা জমিতে পলি এনে জমিকে উর্বর করত, ফলে ফসলের ভালো ফলন হতো।

নীল নদীর ভূমিকা

নীল নদী শুধুমাত্র কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, এটি ছিল যোগাযোগ ও বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম। নদীপথে জাহাজ চলাচল করত, যা দেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে মিশরীয়দের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সাহায্য করেছিল।

এই নদীর সাহায্যে মিশরীয়রা উন্নত সেচব্যবস্থা গড়ে তোলে, যা শুষ্ক মরুভূমির মাঝে তাদের জীবনধারণ সম্ভব করেছিল। এছাড়াও, নীল নদী মিশরীয়দের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

মিশরীয় সভ্যতার শাসনব্যবস্থা

মিশরীয় সভ্যতা একটি কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হতো, যেখানে শাসককে দেবতাস্বরূপ মনে করা হতো। শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী ছিল এবং সাধারণ জনগণের ওপর রাজাদের প্রভাব অত্যন্ত গভীর ছিল।

ফারাও ও তার ভূমিকা

ফারাও ছিলেন মিশরীয়দের সর্বোচ্চ শাসক, যাকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি মনে করা হতো। তিনি শুধু প্রশাসনিক প্রধানই ছিলেন না, বরং ধর্মীয় নেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।

ফারাওদের রাজত্বকালেই মিশরীয় স্থাপত্যের অন্যতম সেরা নিদর্শন, যেমন পিরামিড, মন্দির এবং প্রাসাদের নির্মাণ করা হয়েছিল। তাদের মৃত্যুর পর তাদের বিশাল সমাধিতে সমাহিত করা হতো, যাতে তারা পরলোকেও স্বর্গীয় জীবন উপভোগ করতে পারেন বলে বিশ্বাস করা হতো।

আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা

মিশরে একটি সুসংগঠিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল, যেখানে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা রাজাকে সাহায্য করত। রাজস্ব সংগ্রহ, বিচারব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এক বিশেষ কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, যা সভ্যতার দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করেছিল।

মিশরীয় ধর্ম ও বিশ্বাস

মিশরীয় সভ্যতা ছিল বহু দেবদেবীর পূজার ওপর নির্ভরশীল। তারা বিশ্বাস করত যে মৃত্যুর পর আরেকটি জীবন আছে, যেখানে পুনর্জন্ম সম্ভব। এই বিশ্বাস তাদের সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও জীবনধারায় গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।

প্রধান দেব-দেবতা

মিশরীয়দের প্রধান দেবতা ছিলেন আমুন-রা, যিনি সূর্যের দেবতা হিসেবে পূজিত হতেন। এছাড়াও, ওসিরিস ছিলেন মৃত্যুর দেবতা, যিনি মৃত্যুর পর আত্মার বিচারের দায়িত্ব পালন করতেন।

আইসিস ছিলেন মাতৃত্ব ও স্নেহের দেবী, আর হোরাস ছিলেন রাজত্বের প্রতীক। প্রতিটি দেবতার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মন্দির নির্মিত হয়েছিল, যেখানে পুরোহিতরা পূজা করতেন।

পরলোক বিশ্বাস ও মমিফিকেশন

মিশরীয়রা বিশ্বাস করত যে মৃত্যুর পর আত্মা আরেকটি জীবনে প্রবেশ করে, তাই মৃতদেহ সংরক্ষণ করা জরুরি। এই কারণে তারা বিশেষ প্রক্রিয়ায় মৃতদেহ সংরক্ষণ করত, যাকে বলা হয় মমিফিকেশন।

মমিফিকেশন ছিল অত্যন্ত জটিল একটি পদ্ধতি, যেখানে মৃতদেহের অভ্যন্তরীণ অংশ বের করে বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হতো। এই মমিগুলো সমাধির ভেতরে রাখা হতো, সঙ্গে দেওয়া হতো খাবার, গহনা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যাতে মৃতব্যক্তি পরলোকেও স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারেন।

মিশরীয় স্থাপত্য ও শিল্পকলা

মিশরীয় স্থাপত্য বিশ্ববিখ্যাত, বিশেষ করে তাদের পিরামিড, মন্দির ও প্রতিমূর্তি। এগুলো শুধু সৌন্দর্যের নিদর্শনই ছিল না, বরং ধর্মীয় ও শাসনব্যবস্থার প্রতীকও ছিল।

পিরামিডের নির্মাণশৈলী

মিশরীয় স্থাপত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হল পিরামিড। এগুলো রাজাদের সমাধি হিসেবে ব্যবহৃত হতো এবং বিশ্বাস করা হতো যে এগুলো রাজাদের আত্মাকে আকাশে উঠতে সাহায্য করবে।

গিজার মহাপিরামিড বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম একটি নিদর্শন। এটি ফারাও খুফুর সমাধি হিসেবে নির্মিত হয়েছিল এবং এর নির্মাণশৈলী এতটাই উন্নত ছিল যে আধুনিক যুগেও এর রহস্য পুরোপুরি উন্মোচন করা সম্ভব হয়নি।

মন্দির ও ভাস্কর্য

মিশরীয়রা অসংখ্য মন্দির ও বিশালাকৃতির মূর্তি তৈরি করেছিল। কার্নাক ও লুক্সরের মন্দির ছিল তাদের ধর্মীয় স্থাপত্যের চূড়ান্ত নিদর্শন। এছাড়াও, স্ফিংক্সের মতো বিশাল ভাস্কর্য মিশরীয় স্থাপত্যকলার অনন্যতা প্রদর্শন করে।

মিশরীয় সভ্যতার বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক অবদান

মিশরীয় সভ্যতা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নতি করেছিল, বিশেষ করে গণিত, চিকিৎসা ও জ্যোতির্বিদ্যায়।

গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যা

মিশরীয়রা পিরামিড নির্মাণের জন্য জ্যামিতির জ্ঞান ব্যবহার করত। তারা ক্ষেত্রফল ও পরিধি মাপার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিল, যা আধুনিক গণিতের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

জ্যোতির্বিদ্যায়ও তাদের বিশেষ দক্ষতা ছিল। তারা নক্ষত্রের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল, যা পরবর্তী সভ্যতাগুলোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

চিকিৎসাবিজ্ঞান ও ঔষধশাস্ত্র

মিশরীয় চিকিৎসাবিদরা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করত। তারা বিভিন্ন ওষুধ ও শল্যচিকিৎসার উন্নয়ন করেছিল, যা পরবর্তী সভ্যতাগুলোর চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রভাব ফেলেছিল।

মিশরীয় সভ্যতার পতন

মিশরীয় সভ্যতা একসময় বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সভ্যতা ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবশেষে বাইরের শক্তির দ্বারা গ্রাস হয়ে যায়।

অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা

দীর্ঘ রাজতান্ত্রিক শাসনের ফলে প্রশাসনিক দুর্বলতা দেখা দেয়। রাজাদের বিলাসী জীবনযাপন এবং করব্যবস্থার জটিলতার কারণে সাধারণ জনগণ অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠে।

বহিঃশত্রুর আক্রমণ

পারস্য, গ্রিক ও রোমানদের একের পর এক আক্রমণে মিশরীয় সাম্রাজ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। অবশেষে খ্রিস্টপূর্ব ৩০ সালে রোমান সম্রাট অগাস্টাস মিশর দখল করে নিলে এই সভ্যতার চূড়ান্ত পতন ঘটে।

উপসংহার

মিশরীয় সভ্যতা মানব ইতিহাসের এক অমূল্য সম্পদ। তাদের ধর্ম, বিজ্ঞান, স্থাপত্য ও শাসনব্যবস্থা আধুনিক সমাজেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। আজও মিশরের পিরামিড, মন্দির ও মমিগুলো মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু, যা প্রমাণ করে যে এই সভ্যতা কতটা উন্নত ছিল।


প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: মিশরীয় সভ্যতা কোথায় গড়ে উঠেছিল?
উত্তর: নীল নদীর তীরে।

প্রশ্ন: মিশরীয় সভ্যতার জীবনরেখা কী ছিল?
উত্তর: নীল নদী।

প্রশ্ন: মিশরীয় সভ্যতা কত বছর ধরে টিকে ছিল?
উত্তর: প্রায় ৩০০০ বছর।

প্রশ্ন: মিশরীয় সমাজে শাসককে কী মনে করা হতো?
উত্তর: দেবতাস্বরূপ।

প্রশ্ন: মিশরের সর্বোচ্চ শাসককে কী বলা হতো?
উত্তর: ফারাও।

প্রশ্ন: ফারাও কেবল প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন না, আরও কী ছিলেন?
উত্তর: ধর্মীয় নেতা।

প্রশ্ন: মিশরীয়দের প্রধান কৃষি সুবিধা কী ছিল?
উত্তর: নীল নদীর উর্বর পলিমাটি।

প্রশ্ন: নীল নদী কীভাবে বাণিজ্যে সহায়তা করত?
উত্তর: এটি প্রধান যোগাযোগ ও বাণিজ্যপথ ছিল।

প্রশ্ন: মিশরীয় শাসনব্যবস্থায় কর্মকর্তাদের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর: রাজস্ব সংগ্রহ, বিচারব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা।

প্রশ্ন: মিশরীয়রা মৃত্যুর পর পুনর্জন্মে বিশ্বাস করত কেন?
উত্তর: তারা বিশ্বাস করত যে আত্মা পরলোকে প্রবেশ করে।

প্রশ্ন: মিশরীয়দের প্রধান সূর্যদেবতার নাম কী?
উত্তর: আমুন-রা।

প্রশ্ন: মৃত্যুর দেবতা কে ছিলেন?
উত্তর: ওসিরিস।

প্রশ্ন: মিশরীয়দের মতে মাতৃত্ব ও স্নেহের দেবী কে?
উত্তর: আইসিস।

প্রশ্ন: মৃতদেহ সংরক্ষণের পদ্ধতিকে কী বলা হয়?
উত্তর: মমিফিকেশন।

প্রশ্ন: গিজার মহাপিরামিড কার জন্য নির্মিত হয়েছিল?
উত্তর: ফারাও খুফু।

প্রশ্ন: মিশরীয়রা কোন পদ্ধতিতে জ্যামিতির ব্যবহার করত?
উত্তর: পিরামিড নির্মাণে।

প্রশ্ন: মিশরীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান কোন ক্ষেত্রে উন্নত ছিল?
উত্তর: রোগ নির্ণয় ও শল্যচিকিৎসা।

প্রশ্ন: মিশরীয় সভ্যতার পতনের একটি প্রধান কারণ কী ছিল?
উত্তর: বহিঃশত্রুর আক্রমণ।

প্রশ্ন: মিশরীয় সভ্যতার চূড়ান্ত পতন কখন ঘটে?
উত্তর: খ্রিস্টপূর্ব ৩০ সালে।

প্রশ্ন: কোন রোমান সম্রাট মিশর দখল করেন?
উত্তর: সম্রাট অগাস্টাস।


২০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)

প্রশ্ন: মিশরীয় সভ্যতা কোথায় গড়ে উঠেছিল?
ক) সিন্ধু নদীর তীরে
খ) টাইগ্রিস নদীর তীরে
গ) নীল নদীর তীরে
ঘ) ইয়াংজি নদীর তীরে
উত্তর: গ) নীল নদীর তীরে

প্রশ্ন: নীল নদীর ভূমিকা কী ছিল?
ক) শুধুমাত্র পবিত্র নদী
খ) কৃষি ও বাণিজ্যের মূল উৎস
গ) যুদ্ধক্ষেত্র
ঘ) শুধুমাত্র সেচব্যবস্থার জন্য ব্যবহৃত হতো
উত্তর: খ) কৃষি ও বাণিজ্যের মূল উৎস

প্রশ্ন: মিশরীয় শাসককে কী মনে করা হতো?
ক) সাধারণ মানুষ
খ) দেবতাস্বরূপ
গ) জনগণের প্রতিনিধি
ঘ) সামরিক নেতা
উত্তর: খ) দেবতাস্বরূপ

প্রশ্ন: ফারাও ছিলেন—
ক) শুধুমাত্র সামরিক নেতা
খ) শুধুমাত্র ধর্মীয় নেতা
গ) প্রশাসনিক ও ধর্মীয় উভয় নেতা
ঘ) শুধুমাত্র বিচারক
উত্তর: গ) প্রশাসনিক ও ধর্মীয় উভয় নেতা

প্রশ্ন: মিশরীয় সভ্যতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যকীর্তি কোনটি?
ক) চীনের প্রাচীর
খ) মায়ান পিরামিড
গ) গিজার মহাপিরামিড
ঘ) রোমান কলোসিয়াম
উত্তর: গ) গিজার মহাপিরামিড

প্রশ্ন: মিশরীয় ধর্মবিশ্বাসে পুনর্জন্মের ধারণার সাথে কোন প্রক্রিয়া যুক্ত ছিল?
ক) মন্দির নির্মাণ
খ) মমিফিকেশন
গ) যুদ্ধবিদ্যা
ঘ) রাজ্য সম্প্রসারণ
উত্তর: খ) মমিফিকেশন

প্রশ্ন: আমুন-রা ছিলেন কোন দেবতা?
ক) যুদ্ধের দেবতা
খ) সূর্যের দেবতা
গ) সমুদ্রের দেবতা
ঘ) কৃষির দেবতা
উত্তর: খ) সূর্যের দেবতা

প্রশ্ন: মিশরীয়রা কোন গণিত ব্যবহার করত?
ক) ক্যালকুলাস
খ) পরিসংখ্যান
গ) জ্যামিতি
ঘ) পীথাগোরাস তত্ত্ব
উত্তর: গ) জ্যামিতি

প্রশ্ন: মিশরীয়রা কীভাবে নীল নদীর পানি ব্যবহার করত?
ক) শুধু পানীয় জল হিসেবে
খ) শুধুমাত্র সেচব্যবস্থার জন্য
গ) কৃষি, সেচ ও বাণিজ্যে
ঘ) শুধুমাত্র ধর্মীয় কাজে
উত্তর: গ) কৃষি, সেচ ও বাণিজ্যে

প্রশ্ন: ফারাও খুফুর জন্য কোন পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছিল?
ক) মায়ান পিরামিড
খ) লাল পিরামিড
গ) গিজার মহাপিরামিড
ঘ) স্টেপ পিরামিড
উত্তর: গ) গিজার মহাপিরামিড

প্রশ্ন: মিশরীয় চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রধান উন্নতি কী ছিল?
ক) ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কার
খ) শল্যচিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবহার
গ) পারমাণবিক থেরাপি
ঘ) আধুনিক অস্ত্রোপচার
উত্তর: খ) শল্যচিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবহার

প্রশ্ন: মিশরীয় সভ্যতার পতনের প্রধান কারণ কী ছিল?
ক) কৃষির উন্নতি
খ) জনসংখ্যা বৃদ্ধি
গ) বহিঃশত্রুর আক্রমণ
ঘ) বৈজ্ঞানিক উন্নতি
উত্তর: গ) বহিঃশত্রুর আক্রমণ

প্রশ্ন: ওসিরিস কে ছিলেন?
ক) যুদ্ধের দেবতা
খ) সূর্যের দেবতা
গ) মৃত্যুর দেবতা
ঘ) কৃষির দেবতা
উত্তর: গ) মৃত্যুর দেবতা

প্রশ্ন: কোন রোমান সম্রাট মিশর দখল করেন?
ক) জুলিয়াস সিজার
খ) নেরো
গ) অগাস্টাস
ঘ) ট্রাজান
উত্তর: গ) অগাস্টাস

প্রশ্ন: মিশরীয়দের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় মন্দির কোনটি?
ক) পার্থেনন
খ) লুক্সর মন্দির
গ) নোটরডাম
ঘ) অ্যাপোলো মন্দির
উত্তর: খ) লুক্সর মন্দির

প্রশ্ন: মিশরীয় সভ্যতা কত বছর ধরে টিকে ছিল?
ক) ১০০০ বছর
খ) ২০০০ বছর
গ) ৩০০০ বছর
ঘ) ৪০০০ বছর
উত্তর: গ) ৩০০০ বছর

প্রশ্ন: মিশরীয় শাসনব্যবস্থায় কর্মকর্তাদের কাজ কী ছিল?
ক) শুধুমাত্র রাজস্ব সংগ্রহ
খ) বিচারব্যবস্থা, কর সংগ্রহ ও প্রশাসন
গ) শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার পালন
ঘ) যুদ্ধ পরিচালনা
উত্তর: খ) বিচারব্যবস্থা, কর সংগ্রহ ও প্রশাসন