প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাচীনতম সভ্যতা হল মেসোপটেমীয় সভ্যতা। এটি গড়ে উঠেছিল আজকের ইরাক অঞ্চলে, ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী উর্বর ভূমিতে। সভ্যতার বিকাশে নদীগুলোর বিশাল ভূমিকা ছিল, কারণ এই অঞ্চল উর্বর হওয়ায় কৃষিকাজ সহজ হয়েছিল এবং শহরগুলোর উন্নতি ঘটেছিল।
মেসোপটেমীয় সভ্যতা শুধুমাত্র নগরায়ণ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য বিখ্যাত ছিল না, বরং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আইন ও সাহিত্যেও এর অসামান্য অবদান রয়েছে। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম লিখিত আইনের জন্মভূমি, যেখানে রাজা হাম্মুরাবির আইনসংহিতা সমাজ পরিচালনার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছিল।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার ভৌগোলিক অবস্থান
মেসোপটেমিয়া শব্দের অর্থ “নদীর মধ্যবর্তী ভূমি”, যা ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর মাঝে অবস্থিত। এই অঞ্চল ছিল অত্যন্ত উর্বর, ফলে কৃষিকাজের জন্য এটি আদর্শ স্থান হয়ে উঠেছিল।
নদীর ভূমিকা
এই সভ্যতা মূলত নদীর ওপর নির্ভরশীল ছিল। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদী প্রতি বছর বন্যা এনে জমিতে পলি জমাতো, যা কৃষির জন্য অত্যন্ত উপকারী ছিল। তবে এই বন্যা অনেক সময় ক্ষতিকরও হতো, তাই মানুষ কৃত্রিম খাল ও বাঁধ নির্মাণ করেছিল, যা প্রথম সেচব্যবস্থার সূচনা করেছিল।
নদীগুলো কেবল কৃষির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে নদীপথ ব্যবহৃত হতো, যা মেসোপটেমীয়দের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়তা করেছিল।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার প্রধান শহর ও জনগোষ্ঠী
মেসোপটেমীয় সভ্যতা বিভিন্ন সময়ের মধ্যে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর দ্বারা শাসিত হয়েছে। প্রধান জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সুমেরীয়, আক্কাদীয়, ব্যাবিলনীয় ও অ্যাসিরীয়রা।
সুমেরীয় সভ্যতা
সুমেরীয়রা মেসোপটেমীয় সভ্যতার প্রথম প্রধান জনগোষ্ঠী, যারা খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০ অব্দে নগর সভ্যতার সূচনা করেছিল। তারা নগররাষ্ট্র গঠন করেছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল উর, উরুক ও লাগাশ।
সুমেরীয়রা ধাতব অস্ত্র নির্মাণ, কৃষিকাজ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছিল। তাদের সবচেয়ে বড় অবদান হল লিখন পদ্ধতির আবিষ্কার, যা ‘কিউনিফর্ম লিপি’ নামে পরিচিত। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম লিখিত ভাষা, যা মাটির ফলকের ওপর খোদাই করা হতো।
আক্কাদীয় সাম্রাজ্য
সুমেরীয়দের পর আক্কাদীয়রা মেসোপটেমিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করে। রাজা সারগন প্রথম এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং সমগ্র মেসোপটেমিয়াকে একত্রিত করেন।
আক্কাদীয়রা সামরিক শক্তির জন্য বিখ্যাত ছিল। তাদের শাসনকালে প্রশাসনিক কাঠামো আরও উন্নত হয় এবং একক কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে। তারা সুমেরীয় লিপি ব্যবহার করলেও নিজেদের ভাষা চালু করেছিল, যা পরবর্তী সময়ের ব্যাবিলনীয়দের দ্বারা গৃহীত হয়।
ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য
ব্যাবিলনীয় সভ্যতা মেসোপটেমিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলে। রাজা হাম্মুরাবি ছিলেন এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক, যিনি ‘হাম্মুরাবির বিধি’ নামে বিশ্বের প্রথম লিখিত আইনসংহিতা প্রণয়ন করেন।
ব্যাবিলনীয়রা জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিতেও অগ্রগতি সাধন করেছিল। তারা ৬০ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতি চালু করেছিল, যা আজকের সময় গণনার (ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড) ভিত্তি।
অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য
অ্যাসিরীয়রা ছিল মেসোপটেমীয় অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী সামরিক জাতি, যারা তাদের উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধ কৌশলের জন্য পরিচিত ছিল। তারা বৃহৎ সাম্রাজ্য গঠন করেছিল এবং যুদ্ধজয়ী জাতি হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল।
অ্যাসিরীয়রা প্রশাসনিক দক্ষতা ও নগর পরিকল্পনার জন্য বিখ্যাত ছিল। তারা বিশ্বের প্রথম বৃহৎ গ্রন্থাগার স্থাপন করেছিল, যেখানে প্রচুর লিখিত তথ্য সংরক্ষিত ছিল।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার অবদান
লিপির উদ্ভব ও শিক্ষা
মেসোপটেমীয়রা কিউনিফর্ম লিপি আবিষ্কার করেছিল, যা বিশ্বের প্রথম লিখিত ভাষা। এটি মাটির ফলকের ওপর খোদাই করা হতো এবং প্রশাসনিক নথি, আইন ও সাহিত্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হতো।
শিক্ষার ক্ষেত্রেও মেসোপটেমীয়রা অগ্রগণ্য ছিল। তারা গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে উন্নতি সাধন করেছিল।
আইন ও শাসনব্যবস্থা
হাম্মুরাবির বিধি বিশ্বের প্রথম লিখিত আইনসংহিতা, যেখানে “চোখের বদলে চোখ” নীতির ওপর ভিত্তি করে শাস্তি নির্ধারিত ছিল। এটি সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করেছিল।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
মেসোপটেমীয়রা গণিতের ৬০ ভিত্তিক পদ্ধতি, ক্যালেন্ডার ও সময় গণনার ধারণা তৈরি করেছিল। তারা জ্যোতির্বিদ্যায় উন্নতি সাধন করেছিল, যা পরবর্তী সভ্যতাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেছিল।
স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা
তারা বিশাল আকারের মন্দির বা ‘জিগুরাট’ নির্মাণ করেছিল, যা ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মেসোপটেমীয়রা উন্নত নগর পরিকল্পনা অনুসরণ করেছিল, যেখানে প্রশস্ত রাস্তা ও নির্দিষ্ট প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার পতন
মেসোপটেমীয় সভ্যতা বিভিন্ন কারণে ধ্বংস হয়ে যায়।
অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা
শক্তিশালী সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে একের পর এক যুদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ সংঘাত তাদের দুর্বল করে তোলে। ক্ষমতার লড়াই এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা সাম্রাজ্যকে টিকিয়ে রাখা কঠিন করে তোলে।
পরিবেশগত পরিবর্তন
নদীর অতিরিক্ত ব্যবহার ও মাটি লবণাক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে কৃষির ক্ষতি হয়। খাদ্য সংকট দেখা দিলে সমাজ দুর্বল হয়ে পড়ে।
বহিঃশত্রুর আক্রমণ
পাশের জাতিগুলোর আক্রমণ মেসোপটেমীয়দের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পার্সীয়রা অবশেষে মেসোপটেমীয় অঞ্চল দখল করে নেয়, যার ফলে এই সভ্যতার অবসান ঘটে।
উপসংহার
মেসোপটেমীয় সভ্যতা মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা, যা নগরায়ণ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আইনব্যবস্থার বিকাশ ঘটিয়েছিল। যদিও এটি শেষ হয়ে গেছে, তবে এর অবদান আজও মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাদের আবিষ্কৃত লিপি, আইন, গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান এখনও আধুনিক বিশ্বে ব্যবহৃত হয়, যা মেসোপটেমীয়দের অসামান্য কৃতিত্বের প্রমাণ বহন করে।
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতা কোথায় গড়ে উঠেছিল?
উত্তর: ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে, যা বর্তমানে ইরাক।
প্রশ্ন: “মেসোপটেমিয়া” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: নদীর মধ্যবর্তী ভূমি।
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতার প্রধান দুটি নদী কী?
উত্তর: টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস।
প্রশ্ন: সুমেরীয়দের প্রধান অবদান কী ছিল?
উত্তর: কিউনিফর্ম লিপি (প্রথম লিখিত ভাষা)।
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতার প্রথম নগররাষ্ট্র কোনটি?
উত্তর: উর, উরুক ও লাগাশ।
প্রশ্ন: আক্কাদীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: রাজা সারগন।
প্রশ্ন: বিশ্বের প্রথম লিখিত আইনসংহিতা কে প্রণয়ন করেন?
উত্তর: রাজা হাম্মুরাবি।
প্রশ্ন: হাম্মুরাবির বিধির মূলনীতি কী ছিল?
উত্তর: “চোখের বদলে চোখ” নীতি।
প্রশ্ন: ব্যাবিলনীয়রা কোন গণিত পদ্ধতি চালু করেছিল?
উত্তর: ৬০ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতি।
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয়রা কোন স্থাপত্যশিল্পে বিখ্যাত ছিল?
উত্তর: জিগুরাট মন্দির নির্মাণ।
প্রশ্ন: প্রথম বৃহৎ গ্রন্থাগার কোথায় স্থাপিত হয়েছিল?
উত্তর: অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যে।
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতার পতনের একটি কারণ কী?
উত্তর: পরিবেশগত পরিবর্তন ও কৃষির ক্ষতি।
প্রশ্ন: টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদী কীভাবে কৃষিতে সহায়তা করত?
উত্তর: বন্যার মাধ্যমে উর্বর পলি জমিয়ে।
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয়দের অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি কী ছিল?
উত্তর: কৃষি ও বাণিজ্য।
প্রশ্ন: কোন জাতিগোষ্ঠী মেসোপটেমীয় সভ্যতার শেষ দিকে আক্রমণ চালিয়েছিল?
উত্তর: পার্সীয়রা।
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয়রা কোন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিল?
উত্তর: আইন, লিপি, বিজ্ঞান ও নগর পরিকল্পনা।
প্রশ্ন: প্রথম কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা কোথায় গড়ে ওঠে?
উত্তর: আক্কাদীয় সাম্রাজ্যে।
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতার প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী ছিল?
উত্তর: মন্দির-সংলগ্ন বিদ্যালয়।
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয়রা সময় গণনার জন্য কোন ভিত্তি ব্যবহার করত?
উত্তর: ৬০ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতি।
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক কে ছিলেন?
উত্তর: রাজা হাম্মুরাবি।
২০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতা কোন দুটি নদীর মাঝে গড়ে উঠেছিল?
ক) গঙ্গা ও সিন্ধু
খ) টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস
গ) নীল ও জর্ডান
ঘ) আমাজন ও পারানা
উত্তর: খ) টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় শব্দের অর্থ কী?
ক) সমতল ভূমি
খ) পাহাড়ি এলাকা
গ) নদীর মধ্যবর্তী ভূমি
ঘ) মরুভূমি অঞ্চল
উত্তর: গ) নদীর মধ্যবর্তী ভূমি
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন নগররাষ্ট্র কোনটি?
ক) হারাপ্পা
খ) উর
গ) মিশর
ঘ) এথেন্স
উত্তর: খ) উর
প্রশ্ন: কিউনিফর্ম লিপি প্রথম কোন জাতি ব্যবহার করেছিল?
ক) ব্যাবিলনীয়
খ) সুমেরীয়
গ) আক্কাদীয়
ঘ) অ্যাসিরীয়
উত্তর: খ) সুমেরীয়
প্রশ্ন: আক্কাদীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
ক) হাম্মুরাবি
খ) সারগন
গ) নেবুচাদনেজার
ঘ) গিলগামেশ
উত্তর: খ) সারগন
প্রশ্ন: ব্যাবিলনীয় শাসক হাম্মুরাবি কী জন্য বিখ্যাত?
ক) যুদ্ধজয়ের জন্য
খ) বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য
গ) আইনসংহিতা প্রণয়নের জন্য
ঘ) জিগুরাট নির্মাণের জন্য
উত্তর: গ) আইনসংহিতা প্রণয়নের জন্য
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় গণনা পদ্ধতির ভিত্তি কী ছিল?
ক) ১০
খ) ২০
গ) ৬০
ঘ) ১০০
উত্তর: গ) ৬০
প্রশ্ন: জিগুরাট কী?
ক) যুদ্ধের জন্য দুর্গ
খ) ধর্মীয় মন্দির
গ) প্রশাসনিক ভবন
ঘ) কৃষির জন্য সেচব্যবস্থা
উত্তর: খ) ধর্মীয় মন্দির
প্রশ্ন: বিশ্বের প্রথম বৃহৎ গ্রন্থাগার কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক) উর
খ) ব্যাবিলন
গ) নিনেভেহ
ঘ) আক্কাদ
উত্তর: গ) নিনেভেহ
প্রশ্ন: টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদী কীভাবে মেসোপটেমীয় সভ্যতাকে সাহায্য করেছিল?
ক) যুদ্ধের জন্য প্রতিরক্ষা দিত
খ) কৃষির জন্য উর্বর ভূমি সরবরাহ করত
গ) ধাতু নিষ্কাশনে সাহায্য করত
ঘ) জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হতো
উত্তর: খ) কৃষির জন্য উর্বর ভূমি সরবরাহ করত
প্রশ্ন: হাম্মুরাবির বিধির মূলনীতি কী ছিল?
ক) গণতান্ত্রিক আইন
খ) “চোখের বদলে চোখ” নীতি
গ) রাজতান্ত্রিক শাসন
ঘ) যুদ্ধনীতি
উত্তর: খ) “চোখের বদলে চোখ” নীতি
প্রশ্ন: ব্যাবিলনীয়রা কোন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিল?
ক) চিকিৎসাবিজ্ঞান
খ) গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
গ) সামরিক যুদ্ধকৌশল
ঘ) সমুদ্রবিজ্ঞান
উত্তর: খ) গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতার পতনের অন্যতম কারণ কী?
ক) যুদ্ধ ও পরিবেশগত পরিবর্তন
খ) বাণিজ্যের সম্প্রসারণ
গ) প্রযুক্তির উন্নতি
ঘ) রাজাদের শক্তিশালী শাসন
উত্তর: ক) যুদ্ধ ও পরিবেশগত পরিবর্তন
প্রশ্ন: প্রথম নগরসভ্যতা কোথায় গড়ে ওঠে?
ক) মিশর
খ) ভারত
গ) মেসোপটেমিয়া
ঘ) চীন
উত্তর: গ) মেসোপটেমিয়া
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতার প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি কী ছিল?
ক) সামরিক অভিযান
খ) কৃষি ও বাণিজ্য
গ) দাসপ্রথা
ঘ) নৌপরিবহন
উত্তর: খ) কৃষি ও বাণিজ্য
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয় সভ্যতার অন্যতম শক্তিশালী সামরিক জাতি কোনটি ছিল?
ক) সুমেরীয়
খ) ব্যাবিলনীয়
গ) অ্যাসিরীয়
ঘ) আক্কাদীয়
উত্তর: গ) অ্যাসিরীয়
প্রশ্ন: টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর বার্ষিক বন্যা কী করত?
ক) মাটি উর্বর করত
খ) নগর ধ্বংস করত
গ) পানির অভাব সৃষ্টি করত
ঘ) জনসংখ্যা কমিয়ে দিত
উত্তর: ক) মাটি উর্বর করত
প্রশ্ন: কোন সাম্রাজ্যের পতনের পর মেসোপটেমীয় সভ্যতা চূড়ান্তভাবে বিলুপ্ত হয়?
ক) মিশরীয়
খ) পার্সীয়
গ) গ্রিক
ঘ) রোমান
উত্তর: খ) পার্সীয়
প্রশ্ন: মেসোপটেমীয়দের আইনসংহিতা কী নির্দেশ করত?
ক) শাসকের ক্ষমতা বৃদ্ধি
খ) সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা
গ) যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ
ঘ) ধর্মীয় রীতি প্রচলন
উত্তর: খ) সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা