অধ্যায় ১২: সমার্থক ও বিপরীত শব্দ

সমার্থক ও বিপরীত শব্দ

বাংলা ভাষায় শব্দের ব্যবহার যথাযথভাবে বোঝার জন্য সমার্থক ও বিপরীত শব্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমার্থক শব্দ ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, আর বিপরীত শব্দ বাক্যের অর্থ স্পষ্ট করে তোলে।


সমার্থক শব্দ

📌 যে সমস্ত শব্দ একই অর্থ প্রকাশ করে, তাদের সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ বলা হয়।

উদাহরণ:
সূর্য – রবি, দিনকর, ভানু
জল – পানি, বারি, নীর
পৃথিবী – বসুন্ধরা, ধরিত্রী, মহী
বন্ধু – সখা, বান্ধব, মিত্র

সমার্থক শব্দের গুরুত্ব

✔ লেখার বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
✔ বাক্যে ভাবপ্রকাশ স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল হয়।
✔ সাহিত্য ও কাব্যে সমার্থক শব্দের ব্যবহার বেশি দেখা যায়।

📌 আরও কিছু সমার্থক শব্দ:

চাঁদ – শশী, ইন্দু, নিশাপতি
বাতাস – সমীরণ, পবন, অনিল
আগুন – অগ্নি, অনল, দাহ
আকাশ – গগন, ব্যোম, নভো
মানুষ – নর, মনুষ্য, জন


বিপরীত শব্দ

📌 যে সমস্ত শব্দ পরস্পর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে, তাদের বিপরীত শব্দ বলা হয়।

উদাহরণ:
দিন – রাত
আলো – অন্ধকার
সত্য – মিথ্যা
সুখ – দুঃখ

বিপরীত শব্দের গুরুত্ব

✔ বাক্যের ভাব আরও স্পষ্ট করে।
✔ তুলনামূলক ও ব্যাখ্যামূলক লেখা গঠনে সাহায্য করে।
✔ সাহিত্যিক রচনায় বিপরীত শব্দের ব্যবহার শক্তিশালী প্রকাশভঙ্গি সৃষ্টি করে।

📌 আরও কিছু বিপরীত শব্দ:

উন্নতি – অবনতি
সততা – অসততা
ধনী – গরিব
সোজা – বাঁকা
গরম – ঠান্ডা


উপসংহার

সমার্থক ও বিপরীত শব্দের যথাযথ ব্যবহার বাক্যের শক্তি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
সমার্থক শব্দ ব্যবহার করলে ভাষা সমৃদ্ধ হয়, আর বিপরীত শব্দ বাক্যের ভাব স্পষ্ট করে তোলে।
বাংলা সাহিত্যে কবি ও লেখকেরা সমার্থক ও বিপরীত শব্দের সাহায্যে রচনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলেন।

এই অধ্যায় পড়ে শিক্ষার্থীরা সমার্থক ও বিপরীত শব্দের ব্যবহার ও গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে।